নেই কোনো সাহায্য, দিশেহারা পরিবহন শ্রমিকেরা

Passenger Voice    |    ০৪:২৮ এএম, ২০২১-০৪-২০


নেই কোনো সাহায্য, দিশেহারা পরিবহন শ্রমিকেরা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের কারণে মানবেতর দিন পার করছেন গণপরিবহন চালক ও কন্ডাক্টররা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘জমানো টাকা যা ছিল তা দিয়ে লকডাউনের দিন পার করছি।

আগামী দিনগুলো কীভাবে পার করবো তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছি না। কেউ আমাদের খবর নেই না।

সাহায্যেরও হাত বাড়ায়নি কেউ। ’

রাজধানীর বাসচালক ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।

প্রজাপতি পরিবহনের বাসচালক মুক্তার হোসেন বলেন, লকডাউনে অনেক চিন্তার মধ্যে দিন পার করেছি। কীভাবে চলবো পরিবার-পরিজন নিয়ে।

আমরা বাসচালকরা ‘দিন আনি দিন খাই’। আমাদের জমানো টাকা থাকে না। এজন্য সমস্যায় পড়তে হয়। শুনছি আরো সাতদিন লকডাউন বাড়তে পারে তখন কি খাব কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না।

টেম্পু চালক সোহাগ বলেন, কঠোর লকডাউনে প্রথম দুইদিন টেম্পু চলেছিল। কিন্তু এখন আর চালাতে পারছি না সকালবেলা পুলিশ বাধা দেয়। তাই আমরা এখন আর টেম্পু চালাই না। আমাদের রুটি রুজি টেম্পু চালিয়ে জোগাড় করতে হয়। এই লকডাউনে সবকিছু বন্ধ বাকি কটা দিন কিভাবে চলবো আল্লাহই জানে। ধারণাও করতে পারছিনা। আমাদের মতো সবারই এক অবস্থা কারো হাতে টাকা পয়সা নেই। আমাদের খবর কেউ নেয় না। কারো কাছ থেকেও কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতাও পাইনি।

পরিস্থান পরিবহনের কন্ডাক্টর বলেন, না পারি রিকশা-ভ্যান চালাতে। না পারি কারো কাছে হাত পাততে। লকডাউনের ছয়দিন অনেক কষ্ট করে চলেছি। ধার আর জমানো টাকা দিয়ে কোনমতে এইকটা দিন পার করলাম। ফিরতি লকডাউনে কিভাবে যে খেয়ে পড়ে থাকবো তাই এখন বড় সমস্যা? সড়কে আমাদের পরিবহন চললে পকেটের টাকা আসে, আমাদের ইনকাম হয়। লকডাউনের সড়কে বাসও চলে না, আমাদের রোজগারও হয় না।